,

আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশকে আমরা উন্নত করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালায় না। বিএনপি নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, আওয়ামী লীগ পালায় না।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভাস্থলে পৌঁছান তিনি। এ সময় মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগের এ জনসভা। এর আগে রোববার সকাল থেকেই রাজশাহী ও বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকেই মাদ্রাসা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

বেলা সাড়ে ১১টার পর আসা নেতাকর্মীরা আর মাঠের ভেতরে ঠুকতে পারেননি। ফলে জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে জনসভাস্থলের আশপাশের সড়কগুলোতে। একদিকে জনস্রোত গিয়ে ঠেকেছে সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে ঘোষপাড়ার মোড়, পাঠানপাড়া। এমনকি সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে জনসভার পরিসর।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে অবতরণ করেন। সেখানে শিক্ষানবিশ পুলিশ সুপারদের অনুষ্ঠান শেষে তিনি রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমাবেশে উপস্থিত হন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে হেলিকপ্টারে করে নগরীর জেলখানা প্রশিক্ষণ মাঠে নেমে গাড়িতে করে সভামঞ্চে আসেন। তখন ময়দানভর্তি জনতা হাততালি ও স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে জনতার প্রতি শুভেচ্ছা জানান।

মাদ্রাসা মাঠে (বর্তমান হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) রোববার দুপুর ১২টায় জনসভার শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর দলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য শুরু করেন।

এই বিভাগের আরও খবর